"পানকৌড়ি মন" আমার প্রথম কবিতার বই। প্রকাশিত হয়েছে অক্টোবর, ২০২১ এ। সব মিলিয়ে আমার লেখা ৮৫টি কবিতা আছে বইটিতে। ব্যক্তি আমি বলতে গেলে কবিতা পড়িই না! কিন্তু মাঝে মাঝে আমি কবিতা লিখি। অদ্ভুত না?
"পানকৌড়ি মন" আমার প্রথম কবিতার বই। প্রকাশিত হয়েছে অক্টোবর, ২০২১ এ। সব মিলিয়ে আমার লেখা ৮৫টি কবিতা আছে বইটিতে। ব্যক্তি আমি বলতে গেলে কবিতা পড়িই না! কিন্তু মাঝে মাঝে আমি কবিতা লিখি। অদ্ভুত না?
হঠাৎ আমায় তুমি উপহার দিলে একমুঠো সময়,
বুঝে উঠতে পারছি না কি করবো আমি এ সময়টায় !
কেমন করে কাটাই বলো আমি সময়দের ?
শুয়ে, বসে, রিকশায় চড়ে না কি প্রিয় সব গানদের নিয়ে ?
না কি তোমায় খুঁজে বেড়াবো মেঘেদের মাঝে, ক্লান্ত চোখে !
ক'টা দিন হলো আকাশের চাঁদটা তার সব রূপ নিয়ে-
বসে থাকে আমার ছাদ বারান্দায়, বড্ড একা একা !
তার সাথে কি গল্প জুড়ে দিবো তোমায় নিয়ে ?
না কি চাঁদের আলোয় তোমার ছায়া এঁকে তাকে শোনাবো-
এক পশলা বৃষ্টির গল্প, বা এক খামখেয়ালী বালকের
রাতজাগা সব স্বপ্ন বোনার গল্প, বা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে
দাঁড়িয়ে থাকা বালকটার পেছন ফিরে তাকিয়ে-
এক চিলতে হাসির গল্প !
সময়টা নিয়ে আমার এতসব কিছু করা হবে না, আমি জানি !
তোমার দেয়া একমুঠো সময়দের আমি মুঠোয় রেখেই
আমার বাকি সময়টা কাটিয়ে দিবো।
অমূল্য জিনিস খরচ করতে হয় না, আমি জানি !
আচ্ছা বলতো এতকিছু আমি জানি কেন ! ! !
মন ভালো নেই, আজ আমার মন ভালো নেই !
তুমি কি জানো ?
প্রতিদিনকার মত আমার মন ভালো করার মন্ত্রটা-
আজও খুঁজছি! কখনো বা চোখ বুঁজে, কখনো বা-
অন্ধকার ঘরের এক কোণে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে,
সিলিংয়ের দিকে !
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় নিজেকে ফেলে রাখি-
অযত্নে, অবহেলায়, ইচ্ছায় বা বলতে পারো অনিচ্ছায় !
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় হাঁটুর উপর থুতনি রেখে বসে থাকি,
তোমায় বলি, বসে থাকা মোনালিসাকে দেখেছো কখনো ?
কিংবা বসে থাকা মহারাণী ভিক্টোরিয়া !
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় বালুর চরে স্বপ্নের বাসা বাঁধি,
মিছে আশায় !
মাঝে মাঝে বড্ড একা লাগে, জানো ? বড্ড একা-
. . . . এই নিষ্ঠুর লোকালয়ে !
জীবনের প্রতিটা বাকে বাকে রহস্য লুকিয়ে, জানো !
শেষের শুরুটা এভাবেই হয়।
হঠাৎ !
শেষটা প্রতিবার আমিই করি।
কারণটা জানো ?
তুমি যাতে কোনদিন কষ্ট না পাও !
তোমায় আমি মোমের পুতুল করে সাজিয়ে রাখতাম।
আমার ভালোবাসার উষ্ণতায় একটা সময়
তুমি গলতে গলতে হারিয়ে যেতে।
আমি তখন দিশেহারা হয়ে আবার তোমায় গড়তাম।
প্রতিবারই ঠিক আগের মত করে !
শেষমেষ অনেক ভেবে,
ভালোবাসাটা কমিয়ে দিলাম !
ভালোবাসার উষ্ণতায়,
তোমায় আর কষ্ট করে গলতে হয়না।
মাঝে মাঝে তুমি আমায় দুঃখ দিয়ো,
না হয় আমি কবিতা লিখতে পারি না !
সব সময় একই রকম দুঃখ দিয়ো না,
না হয় আমার কবিতারা একই রকম হয়ে যাবে !
তুমি আমায় দুঃখ দিয়ো সময় নিয়ে,
ধীরে ধীরে, একটু একটু করে !
যাতে আমার কষ্ট হয়, ভীষণ ভীষণ কষ্ট !
দুঃখগুলো আমি খুব যত্ন করে রাখবো,
ছোট ছোট শব্দে, আমার শত লেখার মাঝে !
আমায় তুমি দুঃখ দিয়ো, ভালোবেসে।
ভালোবাসার দুঃখগুলো ভীষণ দামী, জানো !
দুঃখগুলো যত্ন করে রাখবো আমার মনের মাঝে,
যেনো আমার মনটা কাঁদে বৃষ্টিস্নাত কোনো সাঁঝে !
হাজারটা ভুল হয়তো ছিলো আমার,
হয়তো আমার বাউন্ডুলে মনে-
তোমার জন্য ছিলো হাসিমাখা অভ্যর্থনা।
আমার অন্ধ চোখ, আরও একবার অন্ধ হলো।
চোখ বুঁজে সে দেখতে চাইলো, তোমায়।
সেই অধরা তোমায়।
একান্ত আপন যাকে বিদায় বলা হয় না,
বা বলা যায় না ফিরে এসো,
তার জন্য রইলো তোলা-
চোখ ছলছল হাসিমাখা মুখ।
ক'টা দিন আমি একা থাকতে চেয়েছিলাম, বড্ড একা!
আমার সকল ব্যস্ততাদের ছুটি দিয়ে, নীরবে-নিভৃতে।
আমার যে একান্ত আমি, তাকে কি হারিয়ে ফেলেছি!
ঠিক জানি না আমি! ভাবতেও আর ইচ্ছে হয় না।
আচ্ছা, তুমি কি আমায় শেখাবে, কিভাবে একা থাকতে হয়?
সবার মাঝে থেকেও কিভাবে থাকা যায় নিঃসঙ্গ, একা!
আচ্ছা থাক, আমার কিছু শিখতেও ভালো লাগে না,
ভালো লাগে না আমার এত এত ভালো না লাগাদেরও!
একটু একটু করে সময় চলে যাচ্ছে, একদিন, দুইদিন!
আমার একা থাকার বাসনা আমাকে আরো কাতর করে,
কিন্তু হয় না আমার স্বপ্নপূরণ, হয় না আমার একা থাকা!
সময়ের এক চোরবালিতে আটকে গেছি হঠাৎ!
আস্তে আস্তে আমায় গিলে নিচ্ছে সে সময়টা।
আমি জানি আমার করা ছোট্ট ছোট্ট আন্দোলন-
আমায় তলিয়ে নিবে আরো দ্রুত, অবলীলায়!
আশেপাশে এমন কেউ নেই যে আমায় টেনে তুলবে!
ঠিক কতক্ষণ এভাবে থাকবো আমি! জানি না।
তবে শেষ সময়টা বেশ ভালোভাবে কাটবে জানি,
কারণ এই সময়টা আমি শুধু তোমায় নিয়ে ভাববো,
চুপ করে তোমার কথা ভাবতে আমার যে বেশ লাগে!
মনে পড়ছে তোমায় নিয়ে লিখা অজস্র কবিতাদের-
কত ভালোবেসেই না আমি তাদের লিখেছিলাম!
টিপ টিপ বৃষ্টি মাঝে তোমায় ভেবে হাঁটবো বলে-
চোখটা বুজে আমি হারিয়ে যাই- আমার কল্পরাজ্যে!
হাঁটার মাঝে হয়তো হঠাৎ পেছন থেকে ডাকবে আমায়!
আমি শুনতে পেয়েও- এক চাপা অভিমানে-
হয়তো শুনবো না!
ঘাসফড়িং
একদা এক ঘাসফড়িং কহিল উড়িয়া যাও,
উড়িয়া গেলাম।
উড়িতে উড়িতে হঠাৎ ভাবনায় পড়িয়া গেলাম !
আমার তো ডানা নাই !
ডানাজোড়ো সেই কবে ঘাসফড়িংকে দিয়াছি ! ! !
তবে আমি যে উড়ছি তাহা সত্য।
ডানাছাড়াও উড়া যায়, কল্পনায় ভর করিয়া।
ফড়িং, আমার ডানাজোড়া দিও না কাউরে,
আমার মত কল্পবিলাসী আর ক'জন আছে,
যে ডানা ছাড়াই উড়িয়া বেড়াইবে ! ! !
স্মৃতি ভোলার মন্ত্র
তোমায় ছাড়া আমি বেশ আছি, জানো !
কেউ যখন আমায় প্রশ্ন করে, কেমন আছো?
আমাকে আর কষ্ট করে ভাবতে হয় না-
কেমন আছি? খুব করে হেসে বলি,
বড্ড ভালো আছি হে ! ভীষণ ভালো !
তোমায় ছাড়া আমার সময়গুলো আরো দীর্ঘ,
এক একটা ঘণ্টা আমার কাছে সহস্র দিন হয়ে আসে !
কি অদ্ভুতভাবে স্রষ্টা আমার সময়টাকে বাড়িয়ে দিলো !
এজন্য একটা ধন্যবাদ কি তোমার পাওনা? অবশ্যই !
তোমায় ছাড়া আমি বুঝতে শিখছি বাস্তবতাকে।
আমার মনের সবটা চাওয়া তোমার সাথে মিলবে না-
মিলবে না তোমার মনের সবটা চাওয়া আমার সাথেও !
কিন্তু আমি তো ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিলাম, জীবনটাও !
তোমার লাল, নীল, আসমানী জমিনে আজ আমি নেই,
নেই আমার শত সহস্র পদ্ম বা কদম বা দোলনচাপা !
আছে শুধু একগাদা স্মৃতি, অ, আ, ই, ঈ, ক, খ, গ, ঘ !
আচ্ছা ! স্মৃতি ভোলার যে মন্ত্রটা তুমি জানো-
সেটা আমায় শেখাবে?
আচ্ছা, আমায় তোমার মনে পরে?
বারবার নয়, একবারও কি মনে পরে?
যেদিন খুব ভোরে ঘুম ভেংগে যায়,
বা খুব কাজের চাপে মুহুর্তের অবসরে !
অথবা নির্ঘুম নিঃশব্দ সব রাত্রি মাঝে !
হাসিখুশি গল্পগুলোয় না হোক,
হাসি মাখা কষ্টগুলোয় ! ! !
আমি জানি না তোমার কথা,
জানলেও আজ বলতে ইচ্ছে করছে না !
ইচ্ছেগুলো আজ বড্ড খামখেয়ালি।
তোমায় কিন্তু আমার মনে পরে !
খুব কি না জানি না, তবে মনে পরে !
সকাল বা রাত্রিবেলায়,
ঘুমের আগে বা জেগে উঠে !
কাজের মাঝে বা অবসরে,
এক পশলা বৃষ্টি মাঝে,
বৃষ্টি শেষের নিস্তব্ধতায় !
একশো একটি পদ্ম ফুল হাতে ছেলেটা দাঁড়িয়ে ছিলো, একা।
তপ্ত মরুর মাঝে তার হাতের ফুলেরা ঝলসে যায়।
ছেলেটা অনেক চেষ্টা করছে তাদের সতেজ রাখতে।
এই পদ্মগুলো সে যে এনেছে তার প্রাণের মানুষটার জন্য!
তুমি হয়তো ভাবতে পারো ছেলেটা মরুর মাঝে কেন!
ছেলেটা মরুর মাঝে মরীচিকাদের ধরতে গেছে, জানো!
কল্পনাবিলাসী ছেলেটা তার কল্পনাদের ধরতে চায় মরীচিকায়।
বাস্তবের সাথে তার বিচ্ছেদ বহুকাল আগেই হয়ে গেছে,
এবার হয়তো কল্পনারাও তার সঙ্গ ছাড়বে।
হঠাৎ একটা ঈগল ছেলেটার সামনে দিয়ে উড়ে গেলো।
ছেলেটার মনে হলো, পাখি হতে পারলে মন্দ হতো না!
অথবা আরো ক্ষুদ্র, ঘাসফড়িং! বা অদৃশ্য কোনো কিছু!
তাহলে এই মরুর মাঝে পদ্ম হাতে দাড়িয়ে থাকতে হতো না,
প্রাণের মানুষটার সাথে সাথে উড়ে বেড়ানো যেতো, হয়তো!
এসব কিছুই আর বাস্তব হয়ে উঠে না!
তপ্ত মরুর বুকে ছেলেটা-
একশো একটি পদ্ম বুকে জড়িয়ে
ঘুমিয়ে পড়ে চিরনিদ্রায়।
শহরের এক কোণে আছো তুমি,
আরেক কোণে আমি।
হয়তো অনেক দূরে . . . .
তবে আকাশটাতো এক!
বর্ষাকালে তুমি যখন
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টিদের ছুঁয়ে দাও,
আমি অবাক হয়ে
বৃষ্টিদের নিয়ে ভাবতে বসি।
একটা আকাশ কত সহজ করে
তোমায় আমায় এক করে দিলো!
সকাল-সন্ধ্যা বা সারা বেলা,
আমার আকাশের মত
তোমার আকাশও রঙ বদলায়।
একা বসে হাসছি আমি, জানো!
আমার পরাবাস্তব ভাবনাগুলো
কত সুন্দর করে আমায়
মানব থেকে দেবতা বানাতে ব্যস্ত!
তবু ভালো, তুমি ভালো আছো, অনেক ভালো!
আমি সবসময় চেয়েছিলাম তুমি ভালো থাকো,
তবে আমাকে ছাড়া তা তো নয়!
আসলে কি আমাকে ছাড়াই আছো?
নাকি আমায় বয়ে চলেছ সারাটাক্ষণ
তোমার মনের ছোট্ট সে ঘরে, আনমনে।
মাঝে মাঝে তোমার জন্য বড্ড মায়া হয়,
কিছু কষ্ট মানুষকে একটা সময় খুব হাসায়,
হাসতে হাসতে এমন হয় যে দম বন্ধ হয়ে যায়!
যে কষ্ট হাসায় না সে আবার কেমন কষ্ট বলো!
আমি বেচেঁ থাকতে চাই
আমার সবগুলো চুল সাদা হওয়া অবধি!
যতদিন আকাশটা নীল থাকবে, ততদিন!
যতদিন সূর্যটা লাল থাকবে, ঠিক ততদিন!
আচ্ছা, আমি কি অমরত্ব চাইছি!
না, এতদিন বাঁচতে চাই না আমি।
তুমি যতটা দিন বেঁচে থাকবে
ঠিক ততদিন বেঁচে থাকতে চাই আমি।
কতটা স্বার্থপর আমি!
আমার বেঁচে থাকতে চাওয়াটাও
আমি আমার জন্যই চাইলাম।
আমার মৃত্যুটাই শুধু তোমার জন্য তুলে রাখা!
খুব চেয়েছিলাম তোমার সাথে ভাগ করে নিতে
আমার সময়গুলো, মহামূল্যবান সময়গুলো!
শেষ পর্যন্ত আমার এই চাওয়াটাও অপূর্ণ রইলো!
তোমার দেয়া সময়গুলো আমার কাছে ছিলো অমূল্য।
তুমি কখনোই সেটা উপলব্ধি করেছ কি! করো নি।
তবু যেটুকু সময় আমি পেয়েছি তোমার, তাদের আমি
অনেক ভালোবাসি। সময়কে ভালোবাসতে দারুণ লাগে!
মেঘলা দিনে তোমায় আমার খুব মনে পড়ে, খুউউব!
মেঘের ফাঁকে আমি দেখতে পাই তোমার হাসিমাখা মুখ!
এত দূর থেকে হয়তো তুমি দেখতে পাওনা বিষন্ন আমায়।
বন্ধ চোখে আমি দাঁড়িয়ে আছি, বৃষ্টিতে ভিজবো বলে!
আর কখনো বলবো না কেমন আছি আমি!
হয়তো জানতেও চাইবো না তোমার কাছে-
কেমন আছো? কি করে কাটে তোমার সময়?
ঘড়ির কাঁটার একটা পাশ কখনোই দেখা যায় না,
দেখা গেলে দেখতে পেতে তার জানার আকুলতা,
অন্য পাশের সময়টা কেমন চলছে! ঠিক কি তারই মত!
সাগর পাড়ের আছড়ে পড়া অজস্র ঢেউয়ের মতই
স্মৃতিগুলো আছড়ে পড়ে আমার সময়ের জানালায়,
জানালায় বসে আমি স্মৃতিদের দেখি, অবাক চোখে!
সময়ের জানালাটা ছোট থেকে ছোটতর হচ্ছে!
জানালাটা বন্ধ হলেই ঘটবে স্মৃতির বিষ্ফোরণ!
অনেক অনেক আমার মাঝে সত্য আমার খোঁজে,
হয়তো তুমি আসবে সেদিন গুটি গুটি পায়ে!
আজ আমার মন ভালো নেই
আজ আমার মন ভালো নেই, সত্যি বলছি!
হয়তো তুমি বসে বসে লিখছো কোনো কবিতা!
শত সহস্র আশায় ভরা সে সব ছাইপাশ পড়ে
মাঝে মাঝে আমি হাসি, বড্ড ছেলেমানুষ তুমি!
পরিপক্ক এই পৃথিবীতে ছেলেমানুষী মানায় বলো?
আজ আমার মন ভালো নেই, সত্যি বলছি!
বৃষ্টি দেখে ভিজতে চাওয়া মনটা আজ খুব উচাটন।
জানালার ফাঁকে তাকিয়ে থাকি দূর আকাশে-
হাত বাড়ালেই যদি ছুঁতে পারতাম কালো মেঘটাকে!
তোমায় বললে হয়তো তুমি এনে দিতে একমুঠো বৃষ্টি,
একগাল হেসে বলতে মেঘ থেকেই তো এর সৃষ্টি!
আজ আমার মন ভালো নেই, সত্যি বলছি!
ইচ্ছে করে একলা ঘরে অশ্রু ঝরাই সঙ্গোপনে।
কাঁচের জারে যত্ন করে রাখবো সে জল পূর্ণ করে,
বাষ্প করে সে জল তুমি উড়িয়ে দিয়ো অনেক দূরে!
লাল গোলাপটা তোমার জন্য
বৃষ্টি এসেছে অনেকক্ষণ। ঝুম সে বৃষ্টি!
তোমার জন্য আনা লাল গোলাপটা নিয়ে
আমি দাঁড়িয়ে আছি, বক পাখির মত।
তোমার পছন্দের নীল পাঞ্জাবিটা পড়েছি
আজ বহুদিন পর, সাথে কালো ঘড়ি!
তুমি কি আজ লাল পরী হয়ে আসবে?
নাকি আসবে সবুজের আবেশ জড়িয়ে?
এই বৃষ্টিতেও তোমার নাকে জমে থাকবে
কয়েক ফোঁটা ঘাম, ঠিক যেন শিশির বিন্দু!
ভেবেছি আজ তোমায় নিয়ে ঘুরে বেড়াবো
রিকশায় করে, অনেকটা পথ, উদ্দেশ্যহীন!
এই বৃষ্টি দেখে এখন ভাবছি কি জানো?
তোমায় রেখে ছাতার নীচে, আমি হাঁটবো
তোমার পাশে, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে!
মাঝে মাঝে আমার চশমাটা মুছে দিয়ো,
যাতে পথটা দেখি! তোমায় তো আমি
বন্ধ চোখেও দেখি! কি, বিশ্বাস হচ্ছে না!
অনেকটা পথ হেঁটে কোন এক ঝুপড়িতে
হয়তো দাঁড়িয়ে পড়বো তোমায় নিয়ে!
এক কাপ ধোয়া উঠা চা ভাগ করে খাবো
আমরা দুজন, পরম তৃপ্তিতে!
এরই মাঝে তুমি এলে, নীল পরী হয়ে!
সমস্ত ভাবনাদের দূরে ঠেলে আমি
এগিয়ে গেলাম তোমার দিকে,
আমার হাতের লাল গোলাপটা যেন-
সৃষ্টিই হয়েছিল তোমার জন্য!
দেবত্ব
কত সহস্র রজনী আমার কেটেছে এমন করে-
তবু এতটা মন খারাপ কোনোদিন হয়নি!
মন খারাপেরা আমায় নিয়ে ঠাট্টা করে।
ভালো লাগারাও এমনটা করেনি কখনোই!
আজ ঘন্টাগুলো আলোকবর্ষ হয়ে আমায় বলে,
যাত্রী তুমি ভয় পেয়ো না,
তোমাকে আমি বয়ে চলবো অনন্তকাল।
তুমি কি জানো না
অনন্তকালে মন খারাপেরা সব কান্না হয়ে যায়!
আমি শান্ত হতে পারলাম না,
আমি জানি আমার কান্নারা-
বাষ্প হয়ে উড়ে যায় না,
তারা আমায় ডুবিয়ে ফেলে
আরো গভীরে, আমার মন খারাপের কেন্দ্রে।
মন খারাপের কেন্দ্রে আমি পেয়েছি-
আমার দেবত্ব।
যে আমাকে দিয়েছে অফুরান শক্তি।
আমার মন খারাপেরা-
তাই তোমার চোখে ধরা পড়ে না।
তুমি দেখো সদা হাস্যোজ্জ্বল আমায়!
কথা ছিলো
কথা ছিলো তোমায় পেলে
আবার আমি স্বপ্ন বুনবো!
এক পা, দু পা করে
হাতে হাত রেখে
একসাথে চলার স্বপ্ন।
কথা ছিলো তোমার সব স্বপ্নগুলো
আমার করে নেবো!
একসাথে পূরণ করবো
তোমার আমার স্বপ্নগুলো।
কথা ছিলো রোজ সকালে
ঘুম ভেঙে তোমায় দেখবো!
এলোকেশে হাত বুলিয়ে
তোমায় কাছে টেনে নেবো।
কথা ছিলো রোজ বিকেলে
একসাথে আমরা চা খাবো!
হয়তো তুমি থাকতে পারো
আমার থেকে দূরে, তারপরও।
কথা ছিলো রোজ সন্ধ্যায়
রিকশা করে ঘুরবো দুজন!
আমি কিন্তু সব ভুলে
তোমায় দেখবো, হাসবে না তো?
কথা ছিলো রোজ রাতে
তোমায় নিয়ে বুনবো গল্পকবিতা!
সবটা জুড়ে থাকবে যেথায়
তোমার কথা, হয়তো আমি খানিকটা!
যেদিন আমি বুঝতে পারি
তোমায় বাসি ভালো,
সেদিন থেকে তোমায় ছাড়া
জগৎ আমার ভীষণ আঁধার কালো।
হাসিমাখা মুখ
আমি সাঁতরাতে পারি না, জানো!
তাই আমি ডুবতে চাই!
বাতাসের মাঝে তো ডুবেই থাকি,
মাটিতেও ডুবে থাকা যাবে, হয়তো!
একটা সময় ছিলো যখন-
তোমার সাথে একটু দেখা করতে,
তোমার কথাদের শুনতে,
আমার অজস্র সময়েরা
অপেক্ষায় থাকতো।
তোমার সাথে-
আজকাল আমার সময়েরা
আর দেখা করতে যায় না।
প্রতিটা বিদায়ের স্মৃতি যে কষ্টের!
সে কষ্ট তোমায় আমি কিভাবে দেই বলো!
তোমার স্মৃতিতে বেঁচে থাকুক
আমার সেই হাসিমাখা মুখ,
আমার মিথ্যে হাসি নাই বা দেখলে!
নীরব কথোপকথন
তোমার সাথে কথা বলতে গিয়ে জানো
আমার কথারা সব ফুরিয়ে যায়,
গলায় কি যেনো একটা দলা পাকিয়ে ধরে।
আমি চুপ করে থাকি।
আমার কিছু একটা বলতে ইচ্ছে করে,
কিন্তু আমি কি বলবো বুঝতে পারি না।
ওপর পাশে তুমিও কথা খুঁজে পাওনা।
তুমি কি আমার চেয়ে বেশী নীরব!
আমি ঠিক বুঝতে পারি না।
আমাদের নীরবতা নিজেদের মাঝে কথা চালিয়ে যায় . . . .
কৃষ্ণচূড়া আর তুমি
একটা মস্ত বড় শহর ছিলো আমার!
সেই শহরে আমি হেঁটে বেড়াতাম অহরহ।
শহরের ঠিক মাঝখানটায় ছিলো
এক বিশা.....ল কৃষ্ণচূড়া গাছ, আর তুমি!
কৃষ্ণচূড়া হাতে তুমি দাঁড়িয়ে থাকতে, সেখানে,
আমার জন্য।
তোমার আমার কথারা সব
কৃষ্ণচূড়া হয়ে ঝরে পড়তো!
শহরজুড়ে আজ
কৃষ্ণচূড়ারা সব ছড়িয়ে আছে।
তোমার আমার কথারা-
আমায় দেখলে আজ কানে কানে কথা বলে,
তাদের শুনে আমার খুব যন্ত্রণা হয়।
আমার হাঁটতেও খুব কস্ট হয়,
যদি পায়ের নীচে কৃষ্ণচূড়ারা চুপ করে যায়!
তাই একা আমি দাঁড়িয়ে শুনতে থাকি
কৃষ্ণচূড়াদের কথা!
আমার শহরে কিছুই বদলায়নি।
কৃষ্ণচূড়া গাছটা একটু কি বুড়িয়েছে!
আর তুমি!
অনেকদিন আমি যেতে পারিনি,
কৃষ্ণচূড়ার কাছে, তোমার কাছে।
ভালো থেকো, ভালোবাসা
আমার কল্পনায় তুমি ছিলে আমার নীলচে আকাশ,
যে আকাশে আমি উড়ে বেড়াতে চেয়েছিলাম-
মুক্ত বিহঙ্গের মত।
আমার কল্পনায় তুমি ছিলে আঁধার রাতের প্রদীপ,
যার আলোয় আমি তোমাকেই দেখতে চেয়েছিলাম-
অপলক দৃষ্টিতে।
আমি চেয়েছিলাম আমার এই ভাঙ্গা মনের দেয়ালে
তোমার ভালোবাসার একটু ছোঁয়া,
যা শুধুই আমার জন্য।
আমি চেয়েছিলাম তুমি হবে আমার নীলপদ্ম,
যেদিকে তাকিয়ে আমি কাটাতে পারি-
আমার সারাটা বিকেল।
কিন্তু, হায়!
আমার চাওয়াগুলো সব আজ ছুড়ে ফেলতে হলো।
তোমার মনের ঘরে যে বাস করে, সে যে আমি নই!
ভালো থেকো, ভালোবাসা।
তোমায় নিয়ে বাড়াবাড়ি
আমার সবক'টা 'তুমি' তুমি নও
তবে অধিকাংশ 'তুমি'ই তুমি।
অন্য সব 'তুমি' আমার কল্পনা।
আমার 'ঘাসফড়িং' তুমি,
আমার 'স্বরচিত অপার্থিব প্রলাপের' সবক'টা 'তুমি'ই তুমি।
আমি জানি এটা উচিত হয়নি,
তোমাকে নিয়ে এ মোর বড্ড বাড়াবাড়ি।
আমি কখনো ভাবি নি লোকে কি বলবে?
অবাধ্যতা আমার মজ্জাগত।
তোমায় ভুলতে আমি প্রতিদিন সূর্যস্নানে যাই না,
কারণ আমি তোমায় ভুলতে চাই না।
আমার কল্পলোকে
তুমি আমাকে যখন তখন ছেড়ে যাও না।
আজ থেকে অনেক বছর পরও
তুমি আমার কাছেই থাকবে, আমার কল্পলোকে।
এই ধরণীতে আমার শেষ মুহূর্তই
তোমার শেষ মুহূর্ত, হোক না তা অবাস্তবে!
সেদিন তুমি যদি বেঁচে থাকো,
জানতে কি পারবে আরেক তুমি-
আমার সাথেই চলেছ পরপারে!
আবার যেদিন
আবার যেদিন স্বপ্ন হবো-
তোমার চোখে দিবো ধরা!
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন মাঝেই
উদ্দেশ্যহীন বেরিয়ে পড়া!
তোমার হাতে হাতটি রেখে
চুপটি করে বসে থাকা!
ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি
চোখে চোখে হাজার কথা!
সাগর পাড়ে তোমার পায়ে
ঢেউটি হয়ে আছড়ে পড়া!
হয়তো ফুলের কাঁটা হয়ে
ফুলটি তোমায় রক্ষা করা!
ভালোবাসার সংজ্ঞাটা যে
মস্ত বড় ধাঁধায় ভরা!
অতিমারীর মাঝে বসে
তোমায় নিয়ে কাব্য লিখা!
কল্পনা ও ঘাসফড়িং
আকাশটা তোমার বড্ড পছন্দ।
তোমার মন ভালো বা খারাপ-
সবটা সময় সে তোমার পাশেই ছিল,
এখনো আছে।
যখন তুমি পাখি ছিলে,
মনে আছে! সকাল কি সন্ধ্যে,
সারাটাক্ষণ তুমি-
উড়ে বেড়াতে আকাশ জুড়ে।
আবার যখন তুমি ফিরে এলে
মেঘবালিকা হয়ে!
তখনও তোমার সবটা দুঃখ
সে বয়ে চলতো অষ্টপ্রহর।
একবার এক ঘাসফড়িং
তার ডানাজোড়া তোমায় দিয়েছিলো!
তুমি সেই ডানায় ভর করে
উড়ে বেরিয়েছ তোমার আকাশজুড়ে!
মনে আছে!
এখনো তুমি আকাশে উড়তে চাও।
একা একা, চোখ বন্ধ করে।
এ জন্মেও তুমি চাইলে উড়তে পারো!
কল্পনায় ভর করে।
কল্পনা করতে ভালো লাগে না বলছো!
আচ্ছা। তাহলে তুমি-
সন্ধ্যেবেলার আকাশটাকে দেখো।
ঘরে ফেরা পাখিদের মাঝে,
আর মেঘেদের আনাগোনায়-
তুমি খুঁজে পাবে তোমাকে।
আচ্ছা, একটা ঘাসফড়িং কি তোমার
হাতে এসে বসেছে!
মন খারাপের মস্ত রাজ্যে
মন খারাপের মস্ত রাজ্যে-
একা পথে হাঁটছি আমি,
মেঘগুলো সব আঁধার কালো,
ঠিক সে যেনো আমার আমি!
শীতল হাওয়ায় উড়ছে যে চুল,
উড়ছে না মন আমার ব্যাকুল!
মন তুই আজ উড়ে যা না,
করবো না আর কোনো বায়না!
উড়ে গিয়ে মেঘের 'পারে
ঝরিয়ে দে তোর অশ্রুধারা!
দূরে দাঁড়িয়ে এক নীরব বালক,
ইতস্তত ভীষণ সে খুব!
হয়তো আমায় বলবে কিছু,
হয়তো থাকবে নীরব নিশ্চুপ!
হঠাৎ আমার কানের মাঝে
শুনতে পাই এক দৈব বাণী!
"ক্ষণিক পরেই দেখবে সখী
মেঘের ফাঁকে আলোক রশ্মি।"
দূর থেকেও দেখছি আমি
নীরব তার মুচকি হাসি!
তারপর, একদিন
তারপর, একদিন আমি রোদ হবো!
তোমার ভেজা চুলেদের নিয়ে-
তুমি আসবে তো? চুল শুকাতে!
এক পশলা বৃষ্টি শেষে-
আবার যখন আমি আলো ছড়াবো,
তুমি কি আসবে হাসিমুখে!
রোদ পোহাতে আমার আলোয় ?
আবার যেদিন শিশির হবো,
শীতের সন্ধ্যা বা খুব সকালে,
পরবো ঝরে তোমার পায়ে!
শিশির ভেজা পায়ে তুমি-
একটু হেটো অভিমানে!
আবার যেদিন সূর্য হবো,
তুমি আমার চাঁদটি হয়ো!
তোমায় দিয়ে সবটা আলো,
আমি না হয় অস্ত যাবো!
সুহাসিনী
আচ্ছা সুহাসিনী, কেমন আছো তুমি?
এখনো কি মন খারাপদের লুকিয়ে রাখতে হাসো!
গুনগুনিয়ে আপন মনে গাইতে ভালোবাসো!
মেঘের সাথে উড়বে বলে উদাস স্বপ্ন আঁকো!
জোছনা রাতে বারান্দাতে চুপটি করে থাকো!
ক্লান্ত কোনো বিকেল বেলায় একলা ছাদে হাটো!
কফির মগের শেষ চুমুকে আমার কথা ভাবো!
রাত জেগে গল্প পড়ার স্বভাবটা- এখনো কি আছে?
এসব কিছুই হয়তো আমার আর হবে না জানা,
হয়না পূরণ আমার তোমায় দেখতে চাওয়ার বায়না!
কল্পরাজ্য
কিছু কিছু ভালো লাগা, ভালোবাসা দূর থেকেই ভালো,
কাছে গেলে ভালো লাগার তীব্রতায় দম বন্ধ হয়ে আসে!
কখনো যদি সুযোগ আসে আমার, অনন্তকাল বাঁচার!
অষ্টপ্রহর আমি থাকতে চাই নিভৃত একা, বড্ড একা,
আমার যত বোকা অনুযোগ, অভিমান, ভালোবাসা নিয়ে!
সারাটা সময় আমি কি করে কাটাবো সেটাও ভেবেছি বহুবার!
তোমায় নিয়ে আমার যত ভাবনাগুলো আছে,
আছে যত সময় স্রোতে বয়ে চলা গল্প-কবিতা,
উদাস মনের ক্যানভাসে আঁকা তোমার চিত্রকল্প,
সবটা দিয়ে গড়বো আমি বিশাল কল্পরাজ্য!
রাজ্য জুড়ে সকাল-সন্ধ্যা, দুপুর-রাত্রি ঘুরবো আমি একা,
সাথে নিয়ে তোমার স্মৃতি, তুমি বিহীন তোমারই অনুভূতি!
খুউউউব মন খারাপ
একজনের খুউউউব মন খারাপ,
কারণে অকারণে তার মন খারাপ!
মনটা ভালো করা খুব দরকার।
আমি বলছি কি শুনবে?
মন খারাপের দিনে
চুলে বেণী করে
আর ক'টা চুড়ি পরে
সাজো আপন মনে।
আর না হয়-
অন্ধকার ঘরে
এক টুকরো কাগজে
লিখো 'মন খারাপ',
আর তারপর ছিঁড়ে ফেলো
মন খারাপদের।
তোমার মন খারাপেরা-
বড্ড অভিমানী!
আমার কথা কি তারা শুনবে!
বজ্রাহত পানকৌড়ি
আমি আমার খারাপ লাগাদের ভালোবাসি,
প্রচন্ড সে ভালোবাসা! হয়তো তোমার চেয়েও বেশী!
আমার খারাপ লাগারা মেঘের মত, নরম তুলতুলে,
তোমার আঘাতে মন খারাপেরা ঝুম ঝুম ঝরে পড়ে,
জবজবে লাল সে জলধারা বয়ে যায় আমার আপাদমস্তক!
আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি, তবু নড়তে পারি না একবিন্দু!
আমার যন্ত্রণাটা হয় ধীরে ধীরে, দীর্ঘ সে যন্ত্রণা, অনন্তকাল!
তুমি আমার যন্ত্রণাদের বুঝতে পারো না, একদমই না!
উড়তে পারি না জেনেও মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় উড়ে যাই,
আকাশে উড়ে বেড়ানো না হলেও কিছুটা ভেসে বেড়াবো কি!
আমার শঙ্খনীল কারাগারে বজ্রাহত পানকৌড়িটা বসে থাকে,
তার উদাস দৃষ্টি শূন্য মাঝে স্বপ্ন আঁকে, ডানা মেলে উড়ার স্বপ্ন!
বাস্তবতার পাঠ চুকিয়ে দিয়ে আজ কল্পলোকে পাড়ি দিলাম-
আমার খারাপ লাগাদের আরো ভালোবাসবো বলে!
আমার বোকা অভিমানেদের আর না ই বা ঠকালাম!
আমার তুমি
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় নিজেকে নিয়ে একটু লিখি।
কিন্তু লিখতে গেলেই জানিনা কোথা থেকে তুমি এসে পড়ো!
আমার লিখা হয়ে পড়ে তুমিময়, আমার আমিহীন!
কাউকে ভালো না বাসলে তাকে নিয়ে লিখা যায় না, জানো!
আমার কবিতার প্রতিটা পংক্তি মাঝে তুমি আছো,
আমার কবিতার শেষ বা শুরু, সবটা জুড়েও তুমিই আছো!
আমার ঘুমহীন কল্পনা রাজ্যে আমার গল্পের সাথী তুমি,
আমার বৃষ্টিহীন আকাশের আঁধার কালো মেঘ তুমি!
আমার সারা দিনের ক্লান্তি শেষে সন্ধ্যে বেলার প্রশান্তি তুমি,
আমার ভালোবাসার একশো একটি পদ্ম ফুলের ধারক তুমি!
আমার খামখেয়ালী অবুঝ মনের সবক'টা গল্প তুমি!
সত্যি বলতে তুমি আমার সবটা জুড়ে, তুমিই আমার অষ্টপ্রহর!
আমার মনের দালানকোঠায় রং তুলিতে তুমিই আঁকা,
আমার প্রাণের নাটাই সুতো তোমার কাছেই রাখা।
আমার সবসময় কি মনে হয় জানো?
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ভালোবাসাটা-
বোধহয় আমিই বাসি তোমাকে।
যদি বলি
যদি বলি প্রতিটা রাতে ঘুম চোখে তোমায় খুঁজে যাই,
যদি বলি প্রতিটা ভোরে তোমার ডাকে ঘুমটা ভাঙাতে চাই,
যদি বলি তোমার কথাই প্রতিটা দিন শুধুই শুনতে চাই,
যদি বলি প্রতিটা ক্ষণ শুধুই তোমার কথা যে ভেবে যাই,
যদি বলি তোমার তোমায় প্রতিটা মুহূর্ত হাসাতে আমি যে চাই,
যদি বলি তোমার প্রতিটা দুঃখ আমি যে ভোলাতে চাই,
যদি বলি একা পথে তোমার পাশে আমি যে হাঁটতে চাই,
যদি বলি আমার শত ভ্রমণ মাঝে তোমায় পাশে চাই,
যদি বলি আমার প্রতিটা কবিতা মাঝে তোমায় একে যাই,
যদি বলি তোমার জন্যই আমার আমাকে শেষটা করছি হায়,
তাহলে কি আমার আমাকে পুরোটা বোঝানো যায়!
সুহাসিনী মেঘবালিকা
ঠিক করেছি, আমার অনুভূতিদের বাকসে পুড়ে
আমি হারিয়ে যাবো বহুদূর, বহু বহুদূর।
তোমায় দেয়া আমার অনুভূতির বর্ণমালাদের
তোমার কাছেই রেখে গেলাম, যত্ন করে রাখবে তো?
অনেক ভালোবেসে আমি আমার বর্ণমালাদের সাজিয়েছি,
একটার পর একটা করে, কত সহস্র মুহূর্তের সে অনুভূতি!
আমার বর্ণমালারা মাঝে মাঝে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে,
মাঝে মাঝে উদাস মনে প্রাণের খোঁজে কথা বলে,
তোমার কানে কানে! তুমি শুনতে পাও তো!
মাঝে মাঝে তোমার কাছে বায়না ধরে বসতে পারে,
মেঘের দেশে যাবে বলে, একটু খানি বৃষ্টি শেষে-
তোমার সাথে হাঁটবে বলে! তুমি তাদের বুঝবে তো!
আমার সুহাসিনী মেঘবালিকা!
তোমার জন্য রেখে যাবো ছোট্ট একটি খাম!
খামের মাঝে থাকবে লিখা অনুভূতিদের দাম!
আমার পদ্ম, কদম, রক্তজবা!
খামটি খুলো সকালবেলা, কাজল চোখে,
এলোকেশে, কাঁপা কাঁপা হাতে!
আমার ইচ্ছে ঘুড়ির নাটাই সুতো,
ভালোবাসার পংক্তিমালা আর
উদাস মনের ভাবনা! সবটা পাবে তাতে।
ঠিক হারাবো
কোনো এক সন্ধ্যে বেলায়-
তোমায় আমি হারিয়েছিলাম!
তোমায় আমি হারিয়েছিলাম-
আমার সজ্ঞানে, আমার অশ্রুসজল চোখে!
তোমায় আমি হারিয়েছিলাম-
বজ্রাহত পানকৌড়ির মতো!
তোমায় আমি হারিয়েছিলাম-
তোমারই স্মরণে, তোমারই কারণে!
আমিও হারিয়ে যেতে চাই, তোমারই মত!
কোনো এক ভোর বেলায়! বুনো শালিকের মত!
কাক ডাকা ভোরে যখন তুমি ঘুমিয়ে থাকো!
তোমার বন্ধ চোখের পাতায় মৃদু কাপন ধরিয়ে,
আমি ঠিক হারিয়ে যাবো ভোরের শীতল হাওয়ায়।
সমীকরণটা তোমার জানা ছিলো
সমীকরণটা আমার অজানা হলেও
উত্তরটা আমার জানাই ছিলো!
হয়তো গ্যালোইসের মত আমিও
তোমার জন্য হারাবো অজানায়, যে অজানায়
আমায় খুঁজে পাবে না তুমি!
কারণ, সমীকরণটা তোমার জানা হলেও
উত্তরটা তুমি মেলাতে পারো না!
ইচ্ছে করেই আমি বার বার হেরে যাই,
তোমায় জিতিয়ে দিয়ে আমার বড্ড মায়া হয়!
তোমার প্রতিটা জয় তোমাকে যে নিয়ে যাচ্ছে
চূড়ান্ত পরাজয়ের কাছে, তা কি তুমি জানো!
তোমায় একটা কথা বলতে খুব ইচ্ছে হয় আমার,
আমি বুদ্ধিমান হলেও চালাক নই!
আমি বুদ্ধিমান হলেও চালাক নই!
আমি বুদ্ধিমান হলেও চালাক নই!
সময়গুলো অনেক দামী
এমন হাজারো মুহূর্ত আসবে তোমার জীবনে-
যখন মন খারাপেরা তোমায় ঘিরে ধরবে।
তোমার প্রাণ উচ্ছ্বলতা, তোমার স্বাধীনতা,
তোমার ক্ষুদ্র প্রাণের ইচ্ছেগুলো-
যে জন বুঝবে বলে আশায় বুকটি বেঁধেছ,
হয়তো সে জন বুঝবে তোমায়, একটু সময় পর!
সময়গুলো অনেক দামী, হয়তো তুমি বোঝনা!
হয়তো বুঝেও তুমি বোঝনা!
মন খারপদের জন্য তুমি তাদের নষ্ট করো না।
তারচেয়ে বরং রং তুলিতে আকতে পারো-
তোমার তোমায়, যাকে তুমি হারিয়ে খোঁজো!
নয়তো তুমি উড়াও ঘুড়ি, বন্ধ চোখে, তোমার আকাশে!
হয়তো আমার ছাইপাশ কবিতারা ভুল!
হয়তো তারা তোমার মতই দুঃখে ব্যাকুল!
আমি আছি তোমার সঙ্গে
তুমি যেখানেই যাওনা কেন
আমি আছি তোমার সঙ্গে!
হয়তো আমায় দেখতে পাওনা,
হয়তো আমার নিঃশ্বাসের শব্দ
তুমি শুনতে পাওনা!
কিন্তু সত্যি বলছি,
আমি আছি তোমার সঙ্গে!
যখন পথ চলতে চলতে
তোমার ভীষণ একা লাগে,
হয়তো আমার পদধ্বনি
তুমি শুনতে পাওনা,
কিন্তু সত্যি বলছি,
আমিও হাঁটি তোমার সঙ্গে!
যখন অন্ধকারে বসে বসে
গল্প করো মন খারাপদের সাথে,
আমি তোমার গল্পদের শুনতে থাকি-
গভীর মনোযোগে।
হয়তো আমায় দেখতে পাওনা!
কিন্তু সত্যি বলছি,
আমি আছি তোমার সঙ্গে!
মুক্তো ঝরানো হাসি
মাঝে মাঝে তোমার মন খারাপেরা-
বড্ড বাড়াবাড়ি করে!
তোমার দু'চোখ বেয়ে
তারা ঝরে পড়তে চায়-
অশ্রুকণা হয়ে।
তোমার অভিমানী মন
অশ্রুকণাদের লুকিয়ে রাখে,
তোমার মনের মাঝে।
লুকিয়ে রাখা অশ্রুরা সব
মুক্তো হয়ে ঝরে পড়ে,
তোমার হাসির সাথে!
মাঝে মাঝে তুমি,
উদাস চোখে তাকিয়ে থাকো-
দূর আকাশে, মেঘের ওপারে!
হয়তো ভাবো কোনো দৈব বাণী
এসে তোমার প্রাণটা জুড়িয়ে দিবে!
হয়তো ঝুম বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে নিবে-
তোমার কষ্টদের, সব অভিমানদের!
তোমার অপেক্ষাদের দীর্ঘ করে
দৈব বাণী বা বৃষ্টিরা তোমায় ধরা দেয় না।
উদাস চোখে তুমি ফিরে যাও তোমার নীড়ে,
আরো কিছু মুক্তো ঝরাবে বলে!
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়
মিশে যাই আকাশের নীলে,
বা মিশে যাই সাগরের ঢেউয়ে!
মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়
ভেসে যাই বাতাসের সাথে,
বুনো মেঘেদের মাঝে!
মাঝে মাঝে ইচ্ছেরা সব
এলোমেলো হয়ে তোমায় খোঁজে,
বন্ধ চোখে, একা পথে, রিক্ত হাতে!
মাঝে মাঝে আমার একলা সকালেরা
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে কিংবা রাত হয়ে যায়,
তবু আমার হয়না বলা, কোনো কথা!
এমন হাজারটা না বলা কথা আমার
বাষ্প হয়ে আকাশে মেঘ হয়ে জমতে থাকে।
হয়তো একদিন বৃষ্টি হয়ে
আমার সব কথারা ঝরে পড়বে!
অমূল্য সময়টা
আরো কিছু সময় চলে যাওয়ার পর,
বুঝতে পেরেছি সময়টা যে চলে গেল!
যদিও সময়টা অনেক অমূল্য ছিলো !
রাতগুলো এখন আরো অন্ধকার হয়ে আসে,
দিনগুলো আসে রাতের মত, অন্ধকার হয়ে!
কিন্তু অবাক হই! আমার চোখেরা এখনো
সবকিছু দেখতে পায়, আলোকিত!
অন্ধকারের তীব্রতায়-
রাতের আকাশের তারাগুলো
আরো বেশী উজ্জ্বল দেখায়।
তাদের দেখতে দেখতে
আমার চোখ ঝলসে যায়।
পানকৌড়ি মন
বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের বায়না ধরেছিলে তুমি!
সারাটা বিকেল আমি খুঁজে খুঁজে এনেছি-
সবচেয়ে ফুটফুটে কদম ফুলটি, তোমার জন্য!
আমার সুহাসিনী মেঘবালিকা!
আমার ভালোবাসার পংক্তিমালায়,
একশো একটি পদ্ম ফুলের পাশে-
এই কদম ফুলটিও রেখো!
আমার ভালোবাসার রক্তজবা!
হয়তো অলস কোন সন্ধ্যে বেলা,
ঠোঁট ফুলিয়ে, চোখ ভিজিয়ে,
আমায় তুমি করবে স্মরণ!
জোছনা রাতের চাঁদের আলোয়
তোমার মনের বন্ধ ঘরে
হয়তো তুমি পাবে খুঁজে,
আমার পানকৌড়ি মন।
তোমায় লেখা চিঠিগুলো
তোমায় লেখা চিঠিগুলো-
খামে পোরা হয় না আমার,
চিঠিগুলো জমতে থাকে-
একটার পর একটা, আমার কাছে!
কখনো যদি একসাথে পেয়ে যাও
আমার চিঠিগুলো-
তোমার মাঝেই তুমি
খুঁজে পাবে এক অন্য তোমাকে, হয়তো!
তুলতুলে সাদা মেঘের উপর
হেঁটে যাওয়া মেঘবালিকা আমার,
কোনো এক বর্ষণমুখর দিনে
বৃষ্টি শেষে একটু নেমো এ ধরায়,
বৃষ্টিমাখা পথে একটু হেটো
আমার সাথে, আমার পাশে পাশে।
জোনাকির আলোয় তোমার
হাসিমাখা মুখখানি দেখবো বলে,
কত সহস্র বছর ধরে আমি
জোনাকিদের পুরছি কাঁচের জারে!
তুমি কি জানো?
অগোছালো কবিতা
আমি নিলাম সকালের রোদ,
রাতের হিমশীতল হাওয়া,
সাথে নিলাম নীল আকাশের
সবগুলো তারা।
তোমায় দিলাম ভোরের পাখি,
পূব আকাশের শুকতারা,
সাথে দিলাম জোছনা রাতের
শুভ্র শীতল চাঁদ।
আকাশটা কি তোমায় দিবো?
আচ্ছা, তোমাকেই দিলাম আমার আকাশ।
তোমার ভোরের পাখিরা
আমার সকালের রোদেলা আকাশে-
উড়ে বেড়াবে বাঁধাহীন।
আমার রাতের হিমশীতল হাওয়ায়
তোমার শুকতারারা-
বয়ে বেড়াবে আমার স্মৃতিদের।
তোমার জোছনা রাতের
চাঁদের আলো মেখে-
আমি ঘুমাবো আমার সমাধিতে।
আমার নীল আকাশের
সবগুলো তারা-
দেখতে এসো তুমি, তোমার বারান্দায়।
আমি এবার ঘুমাবো, বড্ড ক্লান্ত মনে-
শ্রান্ত দেহে আমি ঘুমাতে যাবো আমার সমাধিতে।
মাঝে মাঝে রাতজেগে পড়ো
আমার অগোছালো কবিতা।
সময় থামানোর মন্ত্র
আমার ভীষন মন খারাপের দিনে,
আমায় তুমি একটু সান্তনা দিয়ো!
হোক না সেটা মিথ্যে, তবুও দিয়ো।
আমার চরম একাকীত্বের দিনে,
আমায় তুমি একটা ফোন দিয়ো!
হোক না সেটা অল্প সময়ের জন্য,
অথবা একটা দু'টো শব্দের, তবুও দিয়ো।
আমার ভীষন অসুস্থতার দিনে,
ওষুধ খেলেই উঠবো সেরে-
একটু হেসে, সেই কথাটি বোলো।
তোমার জন্যই আমার গল্প,
আমার কবিতা, আমার ভাবনাগুলো-
সময় স্রোতে মলিন হলেও,
যত্ন করে পড়ো।
সবার মতে-
এ জগতের সবটা ক্ষণস্থায়ী।
আমার মতে-
সময়টাকে থমকে দিলে সবই চিরস্থায়ী!
সময়টাকে থামিয়ে দেয়ার মন্ত্রটা কি জানো?
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি
সন্ধ্যা থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে।
আকাশে রাজ্যের মেঘেরা ভীড় করেছে।
অলস আমি অনেক কষ্টে বারান্দায়-
বসে আছি রেলিংয়ে দু'পা ছড়িয়ে।
রাস্তায় মানুষের আনাগোনা আর
গাড়ীদের চলাচল দেখছি আধখোলা চোখে।
হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠে আমার
আধো আধো ঘুম তাড়িয়ে দিলো!
তোমার আকাশে কি বৃষ্টি হচ্ছে?
তুমি কি ছাতা মাথায় অপেক্ষা করছো-
একটি রিকশার জন্য!
না কি আমার মতই বারান্দায় বসে আছো
এক মগ কফি হাতে, শেষ চুমুকটা দিবে বলে!
তোমায় খুঁজে বেড়াই
বড্ড বিষন্ন মনে আমি তাকাই আকাশপানে।
মেঘবালিকা হয়ে যেখানে তুমি উড়ে বেড়াও-
সারাটা সকাল, সারাটা বিকেল,
আমার সারাটা সময়!
এই অচেনা শহরে একটাই তুমি আমার আপন।
অনেক সময় তোমার উদাসীনতায় আমি হারিয়ে যাই!
মাঝে মাঝে দিনের পর দিন তোমায় আমি খুঁজে বেড়াই-
আমার ছকে বাঁধা জীবনে, আমার অভ্যস্ততায়,
আমার শত ব্যস্ততায়, আমার সব প্রার্থনায়,
কিন্তু কখনোই তোমায় খোঁজা হয়নি-
যেখানে তুমি আছো, আমার মনের মাঝে!
শেষবারের আগের বার
মরবার আগে শতবার মরে আমি বুঝেছি
মরণেরও শেষ আছে!
মরণ একবার বলবে, 'ওয়ান লাস্ট টাইম!'
সেইবারই শেষ!
শেষবারের আগের বার-
একটা খারাপ লাগা কাজ করবে, হয়তো!
আহা! মরণের পথে এই ভ্রমণ শেষ হয়ে যাবে?
কত কিছুই তো করা হলো না!
মরবার আগে কি তোমায় বলে যাবো,
এটাই আমার 'ওয়ান লাস্ট টাইম'?
বলা হবে না হয়তো!
কত কিছুই তো বলা হয় না।
ভাবতে পারো
আমায় তুমি ভাবতে পারো বদ্ধ উন্মাদ,
যে বিনা কারণে ঘুরে ফিরে পথে পথে!
বা ভাবতে পারো খামখেয়ালী এক অস্তগামী সূর্য!
ডুবতে ডুবতে যে সূর্য আশার আলো দেখায়
বা সবটা আলো যে দিয়ে যায় চাঁদকে!
হয়তো তোমারও ইচ্ছে করে ঘুরে বেড়াতে-
কারণে, অকারণে, উদ্দেশ্যহীন!
তোমার কাছে আমার কল্পনাদের
আজ আমি বিলিয়ে দিলাম।
আমার কল্পনায় ভর করে
তুমি যেতে পারো অনেকদূর,
মেঘবালিকা হয়ে, অথবা
আমার দেয়া ডানা জোড়ায় চড়ে!
যেতে যেতে যদি পথ হারিয়ে ফেলো,
ভয় না পেয়ে আমায় ডেকো মনে!
বৃষ্টি শেষের রঙধনুটি হয়ে,
তোমায় আমি পথ দেখবো-
খুবই সন্তর্পনে।
আমি থাকি কিংবা না ই থাকি,
তোমার জন্য লেখা-
আমার এই কবিতারা থাকবে।
শুধু নিস্তব্ধ বিকেলে-
ইচ্ছে করলেই আমায়,
হয়তো তুমি বলতে পারবে না-
কেমন আছো?
তোমার অভিমান
পৃথিবীতে দুইটা সহজ কাজ ছিলো-
তোমায় বুঝতে পারা, আর না পারা।
আমি পরেরটাই বেছে নিয়েছি।
তোমাকে জানতে চাওয়াটা অনেক সহজ ছিল,
তার চেয়ে সহজ ছিল তোমায় অবহেলা করা!
আমি সহজটাই করেছি!
আমার হাতে সময়টা খুব কম ছিল।
না হলে তুমিও আমায় দেখাতে পারতে-
তোমার অভিমান।
তোমায় বড্ড ভালোবাসি বলেই বলছি,
কিছুদিন পর দেখিয়ো তোমার অভিমান,
মান ভাঙানোর জন্য তখন যে
থাকবো না আমি! সইতে পারবে তো!
আমি জানি তুমি পারবে . . . .
তুমি
আজ অনেক দিন পর-
আমি বুঝতে পেরেছি আমায়,
আমি বুঝতে পেরেছি তোমায়ও!
বুঝতে পেরেছি আকাশটা যতই এক হোক
আমার আকাশের তারাদের তুমি দেখো না,
আমার আকাশের বৃষ্টিদেরও তুমি ছুঁয়ে দাও না,
আমার কল্পনার রাজ্যে তোমার সাথে করা গল্পদের
তুমি কখনোই শুনতে পাও না, হয়তো শুনতে চাও ও না!
হয়তো আমার ভাবনাগুলো একান্তই আমার
কিন্তু তার পুরোটা জুড়ে যে তোমারই অস্তিত্ব!
আমার 'তুমি'-কে আমি আগলে রাখবো আমার মতন,
আমার 'আমি' হয়তো থাকবো না, কিন্তু আমার 'তুমি'
আমার চিন্তায়, আমার চেতনায় মিশে থাকবে আমৃত্যু,
হয়তো মৃত্যুর পরের জীবনেও!
নীলপদ্ম হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে
বা ঘাসফড়িং বা মেঘবালককে চিনতে পেরেছো!
আর আমার 'তুমি' কে! বা আমার মেঘবালিকাকে!
এক রহস্য ঘেরা সময়ের মাঝে আটকে গেছে যারা!
আজ আমি সত্যি সত্যি ইতি টানছি আমার কথাদের,
আমার এলোমেলো, অগোছালো ভাবনাদের।
আমি জানি একটা দিন তুমি এই খামখেয়ালী আমায়
অনেক মিস করবে, মিস করবে আমার কবিতাদের!
তোমার প্রিয় আয়না
আমার চশমাটা পাল্টেছি বহুবার, জানো!
তবু তোমায় দেখি না!
অনেকবার ভেবেছি, কি করা যায়?
আমার চোখ দু'টো কি বদলে ফেলবো!
সে ভাবনাও বাদ দিয়েছি,
তোমায় দেখতে পাওয়া চোখেদের-
কোথায় পাবো আমি!
তুমি কি বলতে পারো?
আমার হাজারটা মুহূর্ত
এসব ভাবতে ভাবতে হারিয়ে যায়।
হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো
আজ আমার কানে কানে
বলে গেলো, যেনো আমি নিয়ে আসি
তোমার সে প্রিয় আয়নাটা!
সে যে তোমায় প্রতিদিন দেখতে পায়!
আমায় কি দিবে সে আয়নাটা?
কবিতার শেষ লাইনগুলো
শহরটা ঘুমিয়েছে, আমি ঘুমাইনি এখনো।
আমার ঘুমেরা অন্ধকারে হারিয়েছে দূরে,
অনেক অনেক দূরে, তোমার চোখের পাতায়!
জেগে জেগে আমি মন খারাপের গল্প বুনি-
তোমায় শোনাবো বলে।
একটা সময় হয়তো ঘুমিয়ে পড়বো আমি,
যখন তোমার চোখের পাতার ঘুমেরা
আবার ফিরে আসবে, আমার চোখে!
আমি কোনো কিছুই তোমায়
গুছিয়ে বলতে পারি না, জানো!
আমার কথারা সব এলোমেলো হয়ে
শেষমেষ নীরব হয়ে হারিয়ে যায়।
অনেক মূহুর্ত পর আবার হয়তো
কথা হবে তোমার সাথে, হয়তো না!
কিন্তু আমি জানি,
আমি কিছুই বলতে পারবো না,
আমার কথারা এখনই এলেমেলো
হওয়া শুরু করেছে! কি অদ্ভুত!
আমার কবিতার শেষ লাইনগুলো
আমি কোনোদিনও কি
লিখে পাঠাবো তোমাকে! হয়তো না!
একটা ছোট্ট ছেলে
মাঝে মাঝে কিছু কিছু সকাল
জীবনে বার বার ফিরে আসে।
একটা ছোট্ট ছেলে সেদিন,
(আজও হয়তো তেমন ছোট্টটিই আছে!)
অনেকটা দোটানায় ছিল তোমায় নিয়ে!
তুমি সেদিন সব দোটানার অবসান ঘটিয়ে বললে,
ভালোবাসি!
ছেলেটা কিছু বলতে পারলো না!
তবে তার হৃদয়ের কম্পন সেদিন-
কাঁপিয়ে দিতে পারতো পুরো মহাবিশ্ব!
মনের ছোট্ট ঘরে সে
গল্প জুড়ে দিতো তারই সাথে,
বড্ড ছেলেমানুষী সে গল্প!
ছেলেটার সে ছোট্ট মনের ঘরটা
আজ বিশাল দালানকোঠা!
অষ্টপ্রহর সেখানে বসে বসে
ছেলেটা ভাবতে থাকে-
ভুলটা কার ছিলো!
মিথ্যেটার সত্য রূপ
কত্তো ভয়াবহ!!!
আমায় চিনতে পেরেছো?
আজ হঠাৎ, অনেকদিন পর,
মনে হলো আমি হারিয়ে ফেলেছি তোমায়।
শেষ বার তোমার চলে যাওয়া পথ পানে
আমি তাকিয়ে ছিলাম ছলছল চোখে।
একটিবার যদি পেছন ফিরে দেখতে!
হয়তো আজ, অনেকদিন পর,
তোমায় হারানোর বেদনা আমায় গ্রাস করে নিতো না।
তোমায় চিনতে আমার একটুও কষ্ট হয়নি।
মোটা ফ্রেমের চশমায়-
ঢাকা পড়েনি তোমার নেশা ধরানো ঘোলাটে চোখ।
তুমি কি চিনতে পেরেছো আমাকে?
চাওয়া পাওয়া
আচ্ছা, আমি এমন কেন!
আমি তোমাকে চাই, আবার চাই না।
হয়তো তোমাকে চাই না, কিন্তু ঠিকই চাই!
আমার চাওয়াগুলো পাওয়ায় রূপান্তর হোক
সেটা আমি চাই না, আবার চাইও!
আমার অতীতেরা বর্তমান,
আর বর্তমানেরা ভবিষ্যতকে বদলে দেয়।
জানো! আমার চাওয়াগুলো-
আমার পাওয়া হয়না।
আচ্ছা, তোমারও কি এমন হয়?
আমার জানা নেই।
নীলপদ্ম হাতে ছেলেটার ফিরে আসা
নীলপদ্ম হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটার কথা
মনে আছে তোমার? তপ্ত মরুর মাঝে-
যে ঘুমিয়ে পড়েছিল চিরনিদ্রায়?
আমার স্বপ্নে যেদিন সে ধরা দিয়েছিলো,
আমি ছুটে গিয়েছিলাম তার কাছে!
কিন্তু হায়! আমি তাকে পাই নি খুঁজে!
পেয়েছি একশো একটি সতেজ পদ্ম,
কি আশ্চর্য! চিরনিদ্রায় শায়িত ছেলেটির
প্রাণরস তার ভালোবাসার মানুষটার জন্য
রেখে যাওয়া পদ্মদের মরতে দেয় নি!
আমার প্রচন্ড কষ্ট হতে থাকে,
পদ্মগুলো আমি আমার হাতে নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকি ছেলেটার মতো, একা!
আমি আস্তে আস্তে অনুভব করতে থাকি
বহুদিন আগের একা একটি ছেলের
মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা কথাদের।
ঘুমিয়ে পড়ার আগে সে দেখছিলো
ছোট্ট ঘাসফড়িং হয়ে তার উড়ে যাওয়া-
তার ভালো লাগার কাছে, ভালোবাসার কাছে।
ছেলেটা বা আমি বা আমার পর অন্য কোনো আমি
এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকবে পদ্মদের নিয়ে!
যতদিন প্রাণরস সঞ্চারিত হবে পদ্মদের মাঝে!
তবে ছেলেটার মত আমি হয়তো
চিরনিদ্রায় শায়িত হবার আগে
ঘাসফড়িং হয়ে নিজেকে উড়তে দেখবো না!
আমি জানি আমি দেখবো তোমায়,
অশ্রুসজল, হাস্যোজ্জ্বল তোমায়!
স্বার্থপর মন
ঘুমটা ভেঙে তোমায় দেখতে পাই না,
ঘুমোতে যাওয়ার আগেও না!
তবে ঘুমের মাঝে- তুমি আমার সাথেই,
হেঁটে বেড়াও আমার রাজ্যে,
আমার বিশাল সেই কল্পনার রাজ্যে।
কোনো কোনো দিন তোমার
হাঁটতে ইচ্ছে হয় না,
সেদিন তোমার পছন্দের
সাঁজোয়া নদীর পারে,
আমাদের গল্পরা আসর জমায়।
মাঝে মাঝে আকাশ থেকে
রিমঝিমিয়ে বৃষ্টিরা ঝরে পড়ে।
তুমি উচ্ছ্বসিত হয়ে বৃষ্টিদের
নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ো।
আমি বসে বসে তোমায় দেখি,
আর ভাবতে থাকি-
তোমায় ছেড়ে আমি কিভাবে
চলে যাবো!!!
মন আমার বড্ড স্বার্থপর!
সে আমায় বলছে-
তোমায় যাতে বলি
ভুলেও তুমি যেয়ো না আমার আগে।
আমি যে একা হয়ে যাবো,
আমার এই রাজ্যে!
প্রস্থান
তুমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই
আমার প্রস্থান হবে।
আমার প্রস্থানের পর হয়তো
তুমি সবটা বুঝবে!
না ও বুঝতে পারো!
গোধূলী বেলার সূর্য কি তোমার ভালো লাগে?
কথা দিলাম, আমি তোমায় গোধূলি বেলায় ডাকবো-
সূর্যটাকে দেখতে, তাকে অনুভব করতে!
সত্যি বলছি।
আমার অশরীরী ডাক কি তুমি শুনতে পাবে?
এখন পাও না আমি জানি,
এখনো যে অশরীরী হইনি!
মাঝে মাঝে খুব খারাপ লাগে এই ভেবে যে,
তোমাকে আমি আর শোনাতে পারবো না
আমার এলেমেলো, অগোছালো শব্দদের।
মন্দ হতো না-
যদি জানার কোনো উপায় থাকতো!
আমার অশরীরী শব্দদের তুমি শুনতে পাবে কি না?
জানো, আমার দুঃখ ধারণের পাত্রটা
আজ পরিপূর্ণ,
দুঃখরা অশ্রু হয়ে আর উপচে পড়ে না,
তারা আজ রক্তস্রোতে বয়ে চলে-
আমার ধমনী জুড়ে, আমার হৃদপিণ্ডে!
বৃষ্টি আসার আগেই যেতে হবে
এতো কি ভাবছো তুমি?
যাবেনা ঐ দূর শহরে!
মেঘলা আকাশ দেখে ভয় পাচ্ছো?
ভয় নেই, বৃষ্টি আসার আগেই
পৌঁছে যাবো খেয়া ঘাটে।
আর যদি বৃষ্টি এসেও পড়ে
ভয় কি তোমার!
আমি তো আছি, তোমার পাশে!
চোখে একটু কাজল দিয়ো!
আর চুলটা কি খুলে দিবে?
খোলা চুলে তোমায় দারুণ লাগে।
হাসছো তুমি! সত্যি বলছি।
মনে আছে তোমার! তুমি বলেছিলে,
ছোটবেলায় জোনাকিদের তুমি
ম্যাচের বাকসে পুড়ে রাখতে।
কিছুক্ষণ পর পর তাদের
ছুঁয়ে দেখতে অবাক দৃষ্টিতে।
তাই আমি মাঝে মাঝে
কিছু কবিতা লিখে তাদের
উড়িয়ে দিতাম বাতাসে!
যদি তুমি তাদের ছুঁয়ে দেখো
জোনাকিদের মতো! সে আশায়!
তুমি হাসছো! আচ্ছা পরে হেসো,
এবার চলো, আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে!
বৃষ্টি আসার আগেই যেতে হবে, খেয়া ঘাটে।
আবদার
তুমি বললে একটা কবিতা লিখো,
আমি কি করে না করি বলো!
কি নিয়ে লিখবো বলো?
তোমাকে নিয়ে?
মাথায় আসলে কিছু আসছে না।
তোমায় বলেছিলাম-
তোমার মাঝে আছে সরল কাঠিন্য!
সহজ থেকে কঠিন, বা
কঠিন থেকে সহজ, হয়ে পড়ো অনায়াসে।
তুমি বলেছিলে-
তুমি জানো না!
তোমায় নিয়ে কেউ কি ভাবে এমন করে!
উত্তর আমার জানা ছিলো,
আমি উত্তর দিতে পারিনি।
বিষন্ন মেঘবালিকা
মেঘেদের সাথে হেঁটে চলেছে
এক বিষন্ন মেঘবালিকা।
আর কিছুকাল পর
বৃষ্টিদের সাথে সে ঝরে পড়বে,
ঝরে পড়বে সে
আকাশে তার বিষন্নতাদের ছড়িয়ে।
দূর পৃথিবীতে আমি আকাশপানে চেয়ে থাকি,
মেঘেদের মাঝে আলোর ঝলকানি দেখে,
আশায় থাকি, এই বৃষ্টি এলো বলে!
মেঘবালিকার বিষণ্ণতায় সিক্ত
সে বৃষ্টি দেখে আমার মন খারাপ হয়।
আগে জানলে আমি এই মেঘেদের
তুলো ভেবে বাকসে পুরে রাখতাম।
বিষন্নতারা থাকতো আমার কাছে, বাকসোবন্দী।
বৃষ্টি একসময় থেমে যায়,
মেঘবালিকার বিষণ্ণতা কিছুটা কি কমলো!
হয়তো কমেছে বা কমে নি! ঠিক জানি না।
তবে এখন থেকে মেঘের বিষন্নতাদের
আমি বাকসে পুড়ে রাখবো!
মেঘবালিকার বিষন্নতারা আমার কাছেই
থাকুক, পরম মমতায়।
শেষ হবার আগেই
আজ, বহুদিন পর
নিজের মাঝে নিজেকে খুঁজি!
আমার মাঝে আমার কিছু
কি অবশিষ্ট আছে আর!
অনেকটা আতঙ্ক আর অনেকটা হতাশায়
আমার মাঝেই আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি।
মাঝে মাঝে ভাবি শেষ কবে
সত্যিকারভাবে হেসেছিলাম!
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে
শেষ হবার আগেই
ফুরিয়ে যাই।
ইচ্ছেটা আস্তে আস্তে
আমাকে গ্রাস করে নিচ্ছে।
আমাকে পরাজিত করে
আমার ইচ্ছেকে আজ
জয়ী হতে দিতে বড্ড ইচ্ছে হয়।
জীবনের শেষটা জয় দিয়েই
শেষ হবে তবে।
উপহার
আজ আমার মনটা খুব খারাপ, জানো!
তোমাকে যে বলবো
আমার সাথে একটু কথা বলো-
তা ও সম্ভব না।
কিন্তু একটা পথ
আমি ঠিকই বের করেছি।
তুমি জানলে হাসবে-
আমায় নিয়ে।
তোমায় আমি যা খুশি তা বলতে পারি, জানো!
বাস্তবে না হলেও আমার কবিতায়।
শত শত মানুষের মাঝে তুমিও আমার শ্রোতা।
শুধু তুমি জানো না আমি তোমায়ই বলছি।
এ এক অদ্ভুত অনুভূতি!
শত সহস্র বছর, কোনো কল্পকাহিনীর মত,
আমার মস্তিষ্ক যদি জীবিত থাকতো!
তোমাকে নিয়ে তার যে অনুভূতি হতো,
সেই অনুভূতি আমি আজ বেঁচে থেকে পাচ্ছি!
তুমি আমায় একবার মেরে শত বছর উপহার দিলে,
তোমায় আমি ভালোবাসি, শত সহস্র বছরের সে ভালোবাসা!
মন খারাপ করো না
একটা মানুষের মন ভালো থাকা খুব জরুরী।
তার নিজের জন্য তো বটে,
কিন্তু আমার জন্য আরো বেশি!
কারণটা শুনলে আমায়-
বড্ড স্বার্থপর মনে হবে!
মানুষটার মন ভালো থাকলে
আমার সাথে টুকটাক কথা বলে।
আমার দুঃসময়ে, টুকটাক কথারা
আমার কষ্টদের কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখে।
মানুষটার মন খারাপ থাকলে
আমি অনেক ছেলেমানুষী করি!
ইচ্ছে করেই কি করি?
না, মন থেকেই করি।
ইচ্ছে আর মনের মাঝে বিস্তর ফারাক।
মানুষটা হয়তো জানে না,
সবার জীবনে এমন ছেলেমানুষ থাকে না!
অনেকের মন খারাপের দিনে
'মন খারাপ করো না'
বলার মানুষ থাকে না! সত্যি।
আমি জানি একটা সময় মানুষটা-
আমার ছেলেমানুষী, আমার অকারণ প্রলাপদের,
আমার এই অগোছালো কবিতাদের,
আমার এই ছন্নছাড়া সময়দের,
আমার এই অকারণ হেঁটে চলাদের,
আমার এই অবসাদের ভীড়ে মেকি হাসিদের
অনেক মিস করবে।
হয়তো!
তোমায় দেখি না, অনেকদিন
তোমার সাথে
আমার নাই বা হলো আর কথা!
জীবনের চলার পথে-
মাঝে মধ্যে যদি ভুলক্রমে দেখা হয়ে যায়!
আমি খুব ব্যস্ত মানুষের মত-
একটু হেসে হেঁটে যাবো খুব দ্রুত।
সব সত্যের মাঝে কেবল-
আমার ব্যস্ততা আর হাসিটাই যে মেকি,
তা কি তুমি জানবে?
হয়তো-
আমি জিজ্ঞেস করবো না, কেমন আছো?
কারণ আমি জানি
তুমি ভালো থাকবে।
আমার মনের সবটুকু দিয়ে আমি চাই-
তুমি ভালো থাকো।
আমি কি তোমাকে মিস করি বা করতাম বা করবো?
সবটার উত্তর তুমি কি জানো?
হ্যাঁ, আমি করতাম বা করি বা করবো।
আমি তোমাকে কোনদিন মিথ্যে বলিনি।
সত্যটাই তুমি বুঝতে পারোনি!
তোমাকে কালেভদ্রে দেখলেও
সবচেয়ে বেশী দেখি
যখন তোমাকে দেখি না।
সন্ধ্যে শেষে রাতেরা হুটোপুটি করে নেমে আসে।
বহুদিনের মত আবার ভাবতে বসি,
কেমন আছো তুমি?
ভাবতে ভাবতে রাতেরা গভীর হয়,
আর আমি ফিরে যাই-
তোমাকে মনের মাঝে নিয়ে,
একা একা!
অক্টোপাসের মতো
করুণারা বড্ড করুণ হয়
তুমি যদি তা একটু বুঝতে!
আমি যে সবটা বুঝতে পেরেও
চোখটা বুজে রাখি!
আমার বন্ধ চোখ আমি আর খুলবো না।
অক্টোপাসের মতো করে
আমি পালিয়ে যাবো
দুঃখের রঙেদের ছড়িয়ে।
আমি এবং আমি
আমার এক আমি
মরে গিয়েছে অনেক আগে,
আমার আরেক আমি
বয়ে চলেছে মৃত সেই আমাকে।
মৃত সেই আমার সাথে
বেচেঁ থাকা আমার কথা হয় না।
বলা হয় না, তুই আবার বেচেঁ উঠ।
তুই আর আমি আবার ঘুরতে যাবো-
কোনো এক অবেলায়,
চোখে চশমা, কানে হেডফোনে
বেজে চলা প্রিয় গান।
সময়েরা বড্ড নির্মম।
বেঁচে থাকা আমায় দিয়েছে আল্টিমেটাম!
হয় বাঁচিয়ে তুলতে হবে মৃত আমায়,
না হয় তারই মত মরে যেতে হবে!
সময়ের সাথে চলছে দেন দরবার!
বুঝিয়ে শুনিয়ে হয়তো শান্ত করা যাবে!
তবে, সময় খুব চালাক,
তার সাথে একটু চালাকি আমারও যে করা লাগে!
আজকাল
জানো, আজকাল আমি খুব হাসতে পারি,
তোমায় ছাড়া সারাটাক্ষণ অনেক ভালো
থাকতে পারি!
কল্পলোকের দালানকোঠায় যখন তখন
ঘুরতে পারি,
তোমায় ছাড়া একা একা-
আকাশটাকে দেখতে পারি।
জানো, তোমার দেয়া রঙিন ঘুড়ি-
নাটাই ছাড়া উড়তে পারি!
আমার গড়া আমায় আমি,
যখন তখন ভাঙতে পারি।
কল্পলোকের দেবত্বকে
বাস্তবতায় ধরতে পারি।
শুনলে হয়তো অবাক হবে!
সত্যিকারের তোমার তোমায়
সবটা আমি বুঝতে পারি!
মন খারাপের রাজত্ব
আমার সব মন খারাপ কবিতাদের পক্ষ থেকে
আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি।
সময়ে অসময়ে কত অভিমানী গল্প,
কত শত অহেতুক প্রলাপ আমি ধারণ করেছি
আমার লেখায়, আমার কবিতায়।
আর তার সবটাই আমি দিয়েছি তোমাকে।
দেখো, তোমাকে আমি কেনো দেই
আমার কবিতাদের! আমার কথাদের!
আমার সত্যি জানা নেই!
বহমান নদীও কোথাও না কোথাও
গিয়ে থেমে যায়, এটা কেউ ঠিক করে দেয় না।
তুমি হয়তো আমার বহমান জীবন নদীর
শেষ প্রান্তের একমাত্র ভালো বন্ধু!
মন ভালোর অংশ সবাই হতে পারে,
মন খারাপের অংশ হয় ভাগ্যবানরা।
আশায় থাকি একদিন তোমায় বলবো
"আমার সব মন খারাপের কারণেরা
আজ হারিয়ে গেছে!"
সেদিন না হয় মন ভালোদের গল্প করবো!
তবে আমার মন বলছে একটা সময়
তুমি এই মন খারাপ কবিতাদের খুব মিস করবে।
মন ভালোরা সাময়িক!
আমাদের সত্ত্বাজুড়ে, অবচেতন মনজুড়ে
মন খারাপেরই রাজত্ব।
সবক'টা 'তুমি'-ই তুমি
কোনোদিনও হয়তো জানবে না
আমার কবিতার সবক'টা 'তুমি'-ই তুমি।
আমি নিজ থেকেও বলবো না সে কথা।
আজ থেকে অনেক বছর পরে
আমার না থাকা সময় যদি তুমি থাকো,
তবে হয়তো জানতে পারবে।
জানার পর হয়তো তোমার করুণা হবে।
হয়তো একটু অশ্রুসজল চোখে,
আমার লিখাটায় হাত বোলাবে।
হয়তো কিছুটা বিরক্তও হবে।
আমি আজ ঠিক বেঠিকের হিসেব কষবো না,
সব কিছুর হিসেব কষা যায় না,
আর যদি যায়ও
আমার বেহিসেবী মন তা করতে পারে না!
ভ্রান্তি
কিছু কিছু সময় আমাদের এমনও আসে,
জীবনের চেয়ে দামী ভেবে ভ্রান্তিতে মন ভাসে।
আসলে কি তা ভ্রান্তি?
না কি সেটাই পরম সত্য!
যার জন্য জীবনের সবকিছুই-
মুহূর্তেই অসত্য!
সমান্তরাল রেখার মত চলতে থাকা জীবন,
পয়েন্ট অব ইনফিনিটিতেই জানি হবে মিলন।
শুভকামনা
হয়তো আর শুভ সকাল
বা শুভ রাত্রি বলবে না।
আমিও হয়তো বলবো না!
কিন্তু আমিতো তোমায়
আজীবনের জন্য
সকাল আর রাত্রিদের শুভ করার
প্রার্থণা করেছি আগেই।
আমি প্রচন্ড মন খারাপ করে
আজ বলছি বিদায়।
তোমার উপর হয়তো
রাগটা আমার বেশীক্ষণ থাকবে না,
যা থাকবে তা হয়তো অভিমান!
আমায় তুমি আর দেখতে পাবে না।
হয়তো তুমি, আমায় ভালোভাবে
বুঝতে পারো নি।
সে প্রয়োজনও কি ছিলো!
তবে বলবো, ভালো থেকো . . . .
এ বলাটা মন থেকে বলা!
অনন্তকাল
মৃত্যুদূত যে আমার দরজায় কড়া নাড়ছিলো
তা তোমাকে বলিনি কোনদিন।
নিজেকেও বুঝিয়ে সুঝিয়ে ব্যস্ত রেখেছি-
আমার এতসব অর্জন, এত এত স্মৃতি
সবকিছু ছেড়ে আমি চলে যাবো!
আমি মানতে রাজি ছিলাম না।
সেদিন রমনার বেঞ্চিতে বসে অনেক কেঁদেছিলাম।
মানুষজন হেঁটে যাচ্ছিলো, আর আমায় দেখছিলো।
আমার কিছুতেই আর কিছু যায় আসে না।
অনেক কষ্টে হাসি মুখে আমি ঘরে ফিরেছিলাম,
ফিরেছিলাম আমার অভ্যস্ততায়।
তোমায় না বলেও আমি বলতে চেয়েছিলাম,
আমার যাওয়ার সময়টা।
একদিন সকালে হঠাৎ যখন জানবে!
আমি নেই! বড্ড অবাক হবে কি?
সময়টা খুব অল্প, শীত পেরিয়ে বসন্ত।
সুস্থ পৃথিবীটা দেখে যাওয়ার বড্ড শখ ছিলো,
হয়তো দেখবো না,
স্বর্গ আমায় টানে না জানো,
আমি চেয়েছিলাম এই ধরণীর বুকে থাকতে।
অনন্তকাল!
আত্মহনন
আচ্ছা, কোনোদিন যদি শুনতে পাও
আমি বেছে নিয়েছি আত্মহননের পথ!
তুমি কি অবাক হবে?
অথচ জানো, আমার না খুব ইচ্ছে করে
মরে গিয়ে বেচেঁ যাই।
আমি খুব শীঘ্রই শুরু করতে চাই-
অসীমের পথে যাত্রা।
আমার কাছে কখনো মনে হয়নি আমি ভুল!
কি অদ্ভুত আমি!
আরো অদ্ভুত লাগবে তোমার,
যখন জানতে পারবে
আমি এ পথ পাড়ি দিয়েছি তোমারই জন্যে।
আমার বড় অজানা যে আপনজন!
আমি তোমাকে কিছুই জানতে দিবো না।
এ বিষয়ে আমি বড্ড হিসেবী!
হিসেব কষে বের করেছি,
আমার যাবার ক্ষণ।
শেষ যাত্রার আগে
আজ অনেকদিন পর মনে হচ্ছে
আমার যাত্রা শুরুর সময় হয়েছে।
যে যাত্রাপথের শুরুটা আমাকে করতেই হতো!
আমি হয়তো আরো কয়টা দিন
আরো কয়টা মাস থেকে যেতে পারতাম,
কিন্তু মাঝে মাঝে পাগলামিরা উকি মারে মনে,
বলে, পাগল তুমি, উন্মাদ তুমি, হয়তো দেবতা!
তবে যাই বলো, যাত্রাপথের শুরুর আগে
একবার তো বলে যেতে পারতাম, ভালোবাসি!
শেষযাত্রা
আমি অনেকবার বিদায় বলেও
আবার ফিরে আসি।
খুব বাজে দেখায়, তাই না!
আমি এমনটা ছিলাম না, জানো!
আমার কাছে কথাদের
আলাদা একটা মূল্য সবসময় থাকে।
কিন্তু আমার অবস্থা আমাকে
ভেঙে চুরে দিয়ে মনে করিয়ে দেয়
আমার যে এত রাগ মানায় না!
জানিনা আমার মন এত খারাপ থাকে কেনো!
প্রতিটা ঘণ্টা শেষে মনে হয়
মন খারাপদের ছুটি বলার সময়টা
আস্তে আস্তে ঘনিয়ে আসছে।
এটা ভেবে বরং মনটা আরেকটু খারাপ হয়!
তোমার ব্যক্তিগত, একান্ত ব্যক্তিগত
কিছু সময় আমাকে দিয়েছ।
আমার ছাইপাশ কবিতারা-
আমার অপার্থিব প্রলাপেরা-
আমার প্রাণরসহীন কথারা-
তাই তোমার কাছে কৃতজ্ঞ।
তোমাকে বলা শুভ সকাল
বা শুভ রাত্রি একদিন শেষ হবে।
আকস্মিক সে শেষ হওয়ার দিন হতে
এক বছর পর,
আমার কবিতাগুলো পড়ো।
জানিনা সে সময়টায় আমার কবিতারা
সেকেলে লাগবে কি না!
আমার আমি আমাকে নিয়ে
বড্ড মুশকিলে আছি।
মাঝে মাঝে ভাবি আমার
স্মৃতিদের ছড়িয়ে দেই,
আবার ভাবি নিজেকে গুটিয়ে
রাখি এমনভাবে যেন
আমার যাবার কালে আমার কিচ্ছু
যেনো কেউ খুঁজে না পায়।
আমি আমার মুশকিলদের
মন খারাপের হাতে সপে দিলাম।
মন খারাপের সাথে সে মিশে গিয়ে
এগিয়ে যাক শেষযাত্রায়।
আজ কিংবদন্তি হুমায়ূন ফরীদি এর জন্মবার্ষিকী। শুভ জন্মদিন প্রিয়! তার অসংখ্য অভিনয় আমাকে করেছে মুগ্ধ! তার অভিনীত অসংখ্য ছবি, নাটক, টেলিফিল্ম, মঞ্চ নাটকের নাম মিলিয়ে আমি তার জন্য একটি কবিতা লিখেছি।
যে জীবন হয়নি যাপন
অনেক দিনের আশা ছিলো-
নীল নকশার সন্ধ্যায় তোমার জন্য
আমি পদ্মা নদীর মাঝি হবো!
কীর্তনখোলার মোহনায় আমি থাকবো
তোমার অপেক্ষায়, শীতের পাখির মতো!
হয়তো একদিন হঠাৎ তুমি ঠিকই আসবে,
আমার কাছে, আমার মেহেরজান!
আমার বেপরোয়া মন ছুতে চায়-
লাল শাড়ি পড়া তোমায়,
সাত আসমানের সিড়ি বেয়ে হলেও!
কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি হয়ে
রূপকথার গল্পের বীর সৈনিকের মত
তোমার জীবনে আমি ফিরে আসবো-
আবার, আমায় চিনবে তো?
তোমার ঐ অদৃশ্য শৃঙ্খল ভেঙে
তুমি কি কখনো সত্যি আসবে!
আহা! এক কাপ চা হাতে আমি
কতকাল বসে আছি নীল সাগরের তীরে,
শুধু একবার বলতে, ভালোবাসি তোমাকে!
গতকাল কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন ছিলো। আমার চেয়ে প্রায় ৮৯ বছর আগে জন্ম নেয়া এই কবির জন্য ভালোবাসা।
৮৯ (ঊননব্বই)
আমার থেকে ৮৯ বছরের বড় তুমি,
এক এক করে ঊননব্বইটি বছর!
তোমার লেখা পড়তে গিয়ে কত যে কেঁদেছি নিভৃতে,
স্তব্ধ রাতে চোখের সে জল শুধু ঝাপসা করেছে-
আমার চারপাশ, আমার মনের আকাশ।
তোমার মত আমারও হাতে কালি, মুখে কালি,
লিখতে পারি, আঁকতে পারি, বলতে পারি না!
শব্দদের তাই বাকসে পুড়ে চোখের জলে ভাসি!
অকূল তুফানে তোমার মত দাঁড়িয়ে থাকি আমি-
নাওয়ের আশায়, হয়তো ডুবেই যাবো, তবুও।
ডুবে গিয়ে আমি ভেসে রবো জলরাশির মাঝে!
তোমার মত আমারও আজ মনে পড়ে তারে, অবেলায়।
মেঘের সাথে আজ সে উড়ে যায় পাহাড় পানে,
দূর থেকে তাকে দেখেও আমি আজ অন্ধ হয়েই থাকি!
অদ্ভুত লাল!
লাল রং আমার অনেক প্রিয়, জানো!
লাল রং বড্ড ভালোবাসি! যেমনটা বাসি-
রক্তিম আভায় ছেয়ে যাওয়া আকাশটা!
আচ্ছা, নীল আকাশটা কি আমার জন্যই-
লাল হয় প্রতিদিন, নিয়ম করে!
পছন্দের কৃষ্ণচূড়াটা লাল, রক্তজবাটাও!
ভালোবাসার গোলাপটাও অদ্ভুত লাল!
ছোট্ট বেলায় যখন বাবার খুকি ছিলাম,
আমার জামার রঙটাও ছিলো লাল, জানো!
বিকেলে সূর্যটা যেমন আকাশকে রাঙিয়ে দেয়,
আমিও আমায় রাঙাই আমার প্রিয় সব লালে!
যেদিন আমি থাকবো না
আজ অনেকদিন হলো, আমি নেই!
আমি নেই তোমার চেনা জানা পরিবেশে,
আমি নেই তোমার শত শত ব্যস্ততার মাঝেও!
আমি নেই আমার মাঝেও, সেই কবে থেকে!
অনেক অনেক দিন তোমাকে কবিতা দেয়া হয় না!
আমি কিন্তু নিয়ম করেই লিখি তোমায় নিয়ে,
শত চেষ্টা করেও যে আমি আর পাঠাতে পারি না,
তোমায় নিয়ে আমার ভালোবাসাদের, কবিতাদের!
অনেকদিন তোমায় বলা হয় না শুভ সকাল,
বলা হয় না ভালো থেকো, বলা হয় না শুভ রাত্রি!
একবার তোমায় বলেছিলাম আমি থাকি বা না থাকি-
তোমার সকল সকাল বা রাত্রিগুলো শুভ হবে।
অনেকদিন তোমার হাসিমাখা মুখ দেখি না।
তোমার সাথে হাঁটাও হয়না অনেক অনেক দিন!
তোমার মাথার উপর মেঘ হয়ে আমি ভেসে বেড়াই-
প্রতিদিন নিয়ম করে! কখনো কি বুঝেছ তুমি?
অনেক দূর থেকে আমি তোমায় দেখি, প্রতিদিন!
চোখ বন্ধ করলেই তুমি আমার সামনে এসে পড়ো!
তুমি একটুও বদলাওনি আজও। একটুও না!
আমিও ঠিক আগের মতই আছি, বদলাইনি একটুও!
বয়স বাড়ুক
আমার নাকি বয়স বেড়েছে,
এক রাতেই হাজার বছর!
চোখদু'টো এখন আর-
কিছুই দেখতে পায় না,
শুধু তোমায় ছাড়া!
আমি চাই তোমারও বয়স বাড়ুক-
আমার মত। আমারই সাথে।
আমি চাই তোমার চোখজোড়াও-
আর কিছু দেখতে না পাক,
শুধু আমায় ছাড়া!
খসে পড়া তারা
আকাশ থেকে একটা তারা টুপ করে খসে পড়লো!
জগৎ সংসারে কেউ খেয়ালটি পর্যন্ত করলো না!
কিন্তু আমার মনটা খুব খারাপ হলো, খুব খুব খারাপ।
আমি যে রোজ সন্ধ্যায় আকাশে তারাটাকে দেখতাম।
অজস্র তারার মাঝে এই একটা তারা পৃথিবীর আকাশ
ছেড়ে আজ আমার আকাশে এসেছে খুব সন্তর্পনে!
এখন আর খোলা চোখে আমি তাকে দেখতে পাই না,
দেখতে হয় চোখ বন্ধ করে, আমার নিজের আকাশে!
আমি এখন দিন রাত আমার আকাশে তারা গুনি,
এক. . . . এক. . . . এক. . . . এক. . . . এক. . . .
একটাইতো তারা! এক ছাড়া আর গুণবো কি বলো!
সমাপ্ত